বিদ্যালয়টি সিলেট জেলার বিয়ানীবাজার উপজেলার একটি প্রাচীন জনপদ আঙ্গারজুর গ্রামে মনোরম পরিবেশে ২৪ শতক জমির উপর প্রতিষ্টিত। বিদ্যালয়টিতে ২টি পাকা ভবন ও ১টি আধাপাকাগৃহ, ৫টি শ্রেণিকক্ষ, ১টি অফিস কক্ষ, পর্যাপ্ত আসবাবপত্র, ১টি আর্সেনিক মুক্ত গভীর নলকূপ, ১২টি বৈদুতিক পাখা, ১টি পানির পাম্প, ১টি পানির ট্যাংকসহ পানির সরবরাহের সু-ব্যবস্থা, ২টি স্যানিটারী ল্যাট্রিন, ১টি ফুলের বাগান ও চারপাশে বিভিন্ন জাতের গাছপালা রয়েছে। বিদ্যালয় পরিচালনা ও সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে ওয়ার্ড কমিটি, শিক্ষক ও অভিভাবক কমিটি, কাব স্কাউটিং সংক্রান্ত কমিটি ও স্টুডেন্টস কাউন্সিল ইত্যাদি কমিটি/সংস্থা রয়েছে।
জনবল সংক্রান্ত তথ্যঃ
জনাব স্ত্রী মঞ্জু মোহন দাস-দপ্তরী কাম প্রহরী
যোগদানের তারিখঃ ০১/০২/২০১৪ইং
মোবাঃ ০১৭২৯৩৭২৭০৪
প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিদ্যালয়ের লেখা পড়ার মান ভাল। এলাকাবাসী বিদ্যালয়ের লেখা পড়ার দিকে সব সময় নজর রাখেন। বিদ্যালয়ের জমির স্বল্পতা লাঘবের জন্য প্রথমে জনাব ছইদ আলী এবং তারপর তাঁর ছেলে জনাব মোঃ আব্দুল খালিক, সাং-আঙ্গারজুর, ডাক-বৈরাগী বাজার, বিয়ানীবাজার, সিলেট পর্যাপ্ত জমি দান করেন। বিদ্যালয়ের প্রাক্তন অনেক ছাত্র-ছাত্রী রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক পদে আসিন ছিলেন। যেমন জনাব সুধীর চন্দ্র পাল, (এম.সি কলেজ, সিলেট এর বাংলা বিভাগীয় প্রধান ছিলেন), জনাব মাওলানা আব্দুল মান্নান ও মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, (প্রাক্তন শিক্ষক, সিলেট সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা), জনাব প্রফেসর শামছুল হুদা, রেজিষ্ট্রার, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট (অবসরপ্রাপ্ত) ও জনাব মোৰ আকমল হোসেন, প্রাক্তন ম্যানেজার, ইউনাইটেড কর্মাশিয়াল ব্যাংক, সিলেট। বর্তমানে অনেক দেশে ও দেশের বাহিরে গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করছেন।
শ্রেণি | বালক | বালিকা | মোট |
শিশু শ্রেণি | ১৪ | ০৮ | ২২ জন |
প্রথম শ্রেণি | ১৭ | ১১ | ২৮ জন |
দ্বিতীয় শ্রেণি | ১৭ | ১৬ | ৩৩ জন |
তৃতীয় শ্রেণি | ১৫ | ১১ | ২৬ জন |
চতুর্থ শ্রেণি | ১৪ | ০৭ | ২১ জন |
পঞ্চম শ্রেণি | ০৮ | ১১ | ১৯ জন |
ক্রমিক নং | সদস্যগণের নাম | ক্যাটাগরি | পদবী |
১ | মোঃ আব্দুল খালিক | জমি দাতা | সভাপতি |
২ | মোঃ আব্দুর রহমান | শিক্ষানুরাগী | সহ-সভাপতি |
৩ | মোহাম্মদ মাসুদ আহমদ | প্রধান শিক্ষক | সদস্য সচিব |
৪ | মোঃ এনামুল মজিদ | মাধ্যমিক শিক্ষক প্রতিনিধি | সদস্য |
৫ | আকবর হোসেন | পুরুষ অভিভাবক | সদস্য |
৬ | জুবের আহমদ | ঐ | সদস্য |
৭ | কয়েছ আহমদ | ওয়ার্ড মেম্বার | সদস্য |
৮ | মোছাঃ আঙ্গুরা বেগম | মহিলা অভিভাবক | সদস্য |
৯ | সাকিরা বেগম | মহিলা অভিভাবক | সদস্য |
১০ | আয়েশা বেগম | শিক্ষানুরাগী মহিলা | সদস্য |
১১ | ঝর্ণা বেগম | শিক্ষক প্রতিনিধি | সদস্য |
সাল | পাশের হার |
২০০৯ | ৯১% |
২০১০ | ৭৯% |
২০১১ | ৯৭% |
২০১২ | ৮৪% |
২০১৩ | ১০০% |
শতভাগ ভর্তি, ১০০% ইউনিফর্ম, ৯০% উপস্থিতি। বিদ্যালয়টি এ গ্রেড ভূক্ত। তাছাড়া কাবিঙ কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে।
সমাপনী পরীক্ষায় পাশের হার শতভাগ নিশ্চিত করা। পাশাপাশি শতভাগ এ+ নিশ্চিত করা জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্টত্ব লাভ করা, কাব স্কাউটিং জোরদার করা এবং শাপলা এওয়ার্ড লাভ করা। তাছাড়া সকল ছাত্র-ছাত্রীকে বিদ্যালয় মুখী করা। আগামীতে বিদ্যালয়টি ৮ম শ্রেণিতে উন্নীত করণ এবং একটি আবাসিক আদর্শ বিদ্যালয়ে পরিণত করা এবং সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের জন্য সংগীত শিক্ষার ও শিক্ষকের ব্যবস্থা করা এবং তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করা, একটি পাঠাগার চারপাশের প্রাচীর নির্মাণ ও একটি তোরণ নির্মাণ এর পরিকল্পনা রয়েছে।
যোগাযোগ ব্যবস্থা সুগম। উপজেলা সদর হইতে সাড়ে আট কিঃ মিঃ উত্তরে এবং কুশিয়ারা নদীর দক্ষিণে। সিলেট সদর থেকে বেয়াল্লিশ কিঃমিঃ পূর্বে অবস্থিত। পায়ে হেঁটে কিংবা যে কোনো ধরনের যানবাহন যোগে অতি সহজে বিদ্যালয়ে যাতায়াত করা যায়।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস